Tuesday, December 17, 2013


এষোণিকা কস্‌মস্‌
à ঋষি সৌরক

#
লার্জ হেড্রন কোলাইডারে মাথা ঢুকিয়ে তোর
 
ওরা ভেংগে দিচ্ছে কণাতীত কণা
 
থেঁতলে দিচ্ছে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে
 
নিভৃত ঘুমের কসমস
 

তুই সব অভয়ের শীর্ষে চড়ে
 
কথার সাথে মাথা দিয়েছিস পেতে
 
এই বিজ্ঞান শরীর চায় নি তাই
 
ধড়হীন তোর হালাল
 
উপচে পড়ছে সভ্যতার কোনো অজানা গতিপথ
 

ব্রম্ভাণ্ডের কোন মহাযজ্ঞে হিরোইন হলি তুই
 
ছায়া ছাড়া ছায়া ছাড়া উচ্ছন্নে

#
প্রিয় জিনিস অপাত্রে দান করার মত
বুকের ছাতি ওদের ছিল না

খাপ খুলে বিরাট হাঁ তুলেছিলো কৃষ্ণগহ্বর
স্যারেণ্ডার করেছি যৌবন
বোনলেস যৌবন
যোজন করেছি তাক সেন্সিটিভ কেন্দ্রে -
উড়ে গিয়েছে ঈশ্বর কণা ঠোঁটে ঠোঁটে
বারুদ ঘঁষে
ছড়িয়ে পড়েছে জন্মান্তর !
আমি ছিদ্রাণ্বেষী নই
তবু প্রেমে পড়ার আগে প্রতিবার
গর্তের আঁচ পাই ! স্বপ্ন সেঁকে নি -

ওই গর্ত দিয়েই একটা মহাভারত
বানিয়ে দিলি এষোণিকা 

#
আমি জানিনা এসব কোথা থেকে আসে
এই যে শ্রেণী এই যে লিংগ কোন ফ্যাক্টরির খেলনা এসব
কেনো যে মানুষ মানুষ হল না
পুরুষ হল নারী হল আর হল হরিজন
শব্দের গায়ে রঙ মাখিয়ে
চোপাট হল ব্রম্ভত্ব
এষোণিকা তুই তো সবই জানিস
কি ছিলো পাসওয়ার্ড কিভাবে ছিলো
শুধু তোর মনটাকে পবিত্র করে রাখিস
শরীর চুলোয় যাক

যেদিন ওরা সব ছুঁয়ে দেবে তোর
সূর্য বার্স্ট করবে

#
আমাকে মলয় বলেছিলো হাংরিকালীন শরিক হতে
তুই তো জানিস এসব আমার হাতে ছিলো না
নিজের ডিম নিজে ফোটাবার মেশিন

তারপর কতবার মেলবন্ধন হোল
ঋতুভিত্তিক প্রেমে পুড়ল
গিরগিটি ও টেস্টটিউবের রঙ

অবন্তিকা ডিম ভেজেছে গহ্বরে
নিষ্পাপ হলুদ কুসুমের কাঁচা রঙ
কষ বেয়ে গড়িয়ে গেছে

চেটে নিচ্ছে মানুষ চেটে নিচ্ছে কুত্তায়
চেটে নিচ্ছে ননভেজ যত মানুষখেকো গাছ
সব নিভে গেলে হিস্‌হিস্‌ শব্দ হয়

আমি উদগ্রীব এষোণিকা আমি উদগ্রীব
তোর ঐ ছদ্মনাম দিয়েই ব্ল্যাকমেল করছি
বিগব্যাং গ্যাংব্যাং শ্রী স্টিফেন হকিংস

#
তাই তো ভাবি ‘এ শহরে বেশ্যালয় অনেক ধর্মালয় শুধু একটাই’
মাগিদের গুদ ধার্মিক মুচলেকাবিহীন
সর্বধর্মসমন্বয় সর্বধর্ম ফ্যাদাটলটলে কচিবুড়োগুদ
শ্রীমদ গুদ্গুদানি

ক্ষুধার্ত প্রজন্ম প্রগতির পাঁজর চিঁরে
ফ্ল্যাগ ঝোলাবে চিনের পাঁচিরে
সেদিন শুধু মিলিয়ে নিও তুমি

ভালোবাসা শুধু ভালোবাসা জেগে আছে
গা ছমছম ছায়া ময়তায়

#
নাটকীয়তা মোড় নিচ্ছে এষোণিকা
যেহেতু শব্দে আর স্বাধীনতা নেই
ভালোবাসা-ও তো শব্দমাত্র !

তোর ঘাড়ে স্বৈরাচারের শিলমোহর

এই যে রতি এই যে ভেনাস অথবা আফ্রোদিতি
যুদ্ধের ধূসর চাদর কাম(ড়ে)দেব এর বাগানে
নিঃসীম শূণ্যতা দিয়ে ঢেকে রাখা হদিস
প্রেমতত্ত্ব-কামতত্ত্ব-শব্দতত্ত্ব আড়ত

তুই সমকামী থেকে সমপ্রেমী হতে চেয়েছিলি
তোকে বলি দেওয়া হোল চূর্ণ বিচূর্ণ বিষাদে

এই মুতমথিত অন্ধকার এই থরথর এই বুর্জোয়া বলতকার
সব আলো শুষে নিক আঁতুড়ের

#
ভাবনা রা দোল খায় আর ভারী হয়
বেসামাল এই ভারের খোলস ছেড়ে

তুই থাকলে তবু শূণ্য অবিচল
এষোণিকা
তুই না থাকলে শূণ্যও অচল



Wednesday, August 1, 2012








এষোণিকা আল্ট্রাভায়োলেট

-->ঋষি সৌরক

#
হাজার বার চেয়েও তোমার ম্যানলি ম্যানের তালিকায় রাখতে পারো নি এষোনিকা

ম্যানগ্রোভ শরীর পুড়িয়েছো লেসারে,
পুষেছো অনেক নুনের ভুতুড়ে সাইড এফেক্ট -
তবু তোমার চরম পাওয়া হয় নি ...

# শৌখিন হাঁটু তে
ব্যাথানীল আয়ুর্বেদ মোরাম

অনেকখানি পথ হেঁটে পথ
ছেড়ে দিয়েছে তোমায়

দিন দিন হুইলচেয়ার ভারী হয়
ঘর্ষণাঙ্ক বাড়ে
ঘাড় হেলে পড়ে

# একটা জাম্বো সভ্যতা
গিলতে আসছে
এষোনিকা...

আমাদের দোষ দিও না স্বার্থপর বলে
আমরা পর্দার এপারে আছি

# প্রাঞ্জুস ঢেলে ঢেলে সাজিয়েছি
গোলাপি-নীল সিজন

রঙ দুটো মিশ খায় না
মিশ খাবে কোথাও কখনো

এষোনিকা
রাস্তায় অজানা কারুর হাত
কতো সহজে আঁকড়ে ধরো

লোকে বলে এদিকটা নীচু
অল্প জলেই
ড্রেন উপচে পড়ে

আমার সাথে চিলেকোঠায় গাঁজা খাবে এষোনিকা ?

#কসমোপলিটান ডায়াসে দাঁড়িয়ে
এদিক ওদিক উড়িয়ে দিচ্ছো
সর্ষেফুল

গোলাপি ঠোঁটের আধখানা ফ্লাইং কিস
প্রজাপতি হয়ে বসেছিলো কবেই
বুকে

ক্যানসার প্রজাপতি

#রোজভোর রাতে তুমি বাড়ি ফিরে
ফ্যান টাকে ফুল স্পিডে নিয়ে যাও
খেটে খাওয়া ন্যাতানো শরীর এলে পড়ে
বিছানায় আন্তরিক

সংযত পোশাক চুঁইয়ে ফুলে ওঠে বাতাস
নিষ্পাপ পাপেদের বাঁশি বেজে ওঠে

তৃতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে

আমি আবার ...আবার ...
আধো আলো-অন্ধকারে
ব্যর্থ আততায়ীর রোল প্লে করি

# গ্রীষ্মের ভোরালো এফ-এম

এদিক-ওদিক জড়তা -
আহামরি দিনের গভীরে
একটি অসামাজিক পিঁপড়ে
রাত বয়ে বেড়ায়

Eshonika Trailor





এষোণিকা ট্রেলার

-->ঋষি সৌরক

#'ফেস' তর ''জ্ঞান'' আর ''পাপে'' মোড়া 'বুক'

ঘিনঘিন ধরে গেছে এষোনিকা মাজাত্‌ নিয়ে

যতবার স্বতস্ফূর্ত শুঁকেছি তোকে ...

ক্ষণিকের আরাম
ক্ষণিকের হারাম
কস্‌মোপলিটান এক্স

# আজ কার পাশে বসবি এষোনিকা


পুরুষ-নারী সবাই তোর প্রেমিক

উফফ্‌
টুপ্‌টাপ্‌ !ফ্রি-ফলিং
সে কি পতন
অপ-ছন্দে অপ-ছন্দে ...

# হুহুক্ষণ পরে

নোনি দেহ তপকে দিচ্ছে
আহত অন্ধকার

ডেনিম জিন্স আর গোলাপি টি শার্ট

গলিয়ে মোমরঙ্গ ঘঁষছে কেউ ,
স্টেপ লেয়ার ভল্লুক বাল
কাঁধের পাশ দিয়ে ঢেউয়ের মতো গড়িয়ে নামছে
নাবালিকা ছুতোয়

স্বর্গীয় অ্যারোমা হর্ষে ফণা তুলছে

পোস্টমর্ডার্ণ কবিতার ট্যাটু

# কবিতাপাঠের শেষে

সমবেত কালোয় জ্যোতস্না স্নান

এক-দুই-তিন করে করে

তাড়কা পেগ

অগুন্তি লেগপিস্‌ -ড্রাউজি তাল

তুই ঢুলছিস এষোনিকা বিষাক্ত
আলোকবর্তিকা

তবু ওরা কবিতা পড়বে

কবিতা পড়বে
গলা অব্দি -
তোকে মেরে ফেলবে বলে ...

# বুঝিস না এষোনিকা

বুঝিস না এসব চক্রান্ত

আসলে ওরা সবাই ভুলিয়ে-ভালিয়ে

তোর প্যাণ্টি খুলতে চায়

ওখানেই না লিখে গেছে সেই অ-কবি

পৃথিবীর সবচে দামী কবিতাটা

# গভীর রাত ...একটা-দুটো আলো আরো নিষিদ্ধ

করে দিচ্ছে উত্তর কোলকাতার ট্র্যাপিজ
তোর বাড়িতে উত্তম তালা

সোঁ সোঁ হাওয়া-হেজিতর নন্দন


কোনো অশরীরির বাস্তু থেকে

গুঙ্গিয়ে ওঠা বমিতে
ল্যাটপ্যাট করছে
বালের ছংগোছকৃতি ...